এক ধরনের ভেষজ উদ্ভিদ কালমেঘ। এটি গ্রিন চিরতা নামেও পরিচিত। অকেনথেসি পরিবারের অন্তর্গত, এর বৈজ্ঞানিক নাম Andrographis paniculata। কেউ কেউ একে আলুই নামেও ডাকে।
দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ব্যাপকভাবে উৎপাদিত হয় কালমেঘ। বাংলাদেশের মাঠে-ঘাটে কিংবা বনবাদাড়ে অবহেলা-অযত্নে বেড়ে ওঠে। রৌদ্রোজ্জ্বল জায়গায় ভালো জন্মে।
এটি বর্ষজীবী উদ্ভিদ। প্রায় এক মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। শাখা চারকোণা ও বহু প্রশাখাময়। উজ্জ্বল সবুজ পাতা বল্লমাকৃতির। বিক্ষিপ্ত গুচ্ছে ফুল ফোটে। ফুল খুব ছোট এবং গোলাপি রঙের হয়। ফল দেখতে হয় অনেকটা ক্যাপসুলের মতো। একেকটা কালমেঘ ফল ১০ থেকে ১২টি বীজ বহন করে। এই বীজ থেকেই বংশবিস্তার করে।
কালমেঘ স্বাদে খুবই তেতো, কিন্তু পুষ্টিকর। শিকড় ছাড়া পুরো গাছই ঔষধি গুণাগুণে ভরপুর। নিয়মিত সেবনে নানা রকম রোগের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। কালমেঘের পাতা ও ডাল ম্যালেরিয়া জ্বর সারায়। আমাশয় ও পাতলা পায়খানা কমাতে, বদহজম দূর করতে কালমেঘের পাতা খুবই কার্যকর। কৃমি নিরাময়ে, ঘা, চুলকানিসহ বিভিন্ন রকমের চর্মরোগ সারাতেও কালমেঘ পাতার রস ব্যবহৃত হয়। এ ছাড়া জ্বর, সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা, গলা বসে যাওয়া, টনসিলাইটিস সারাতে সহায়ক।
সুত্র: কালের কন্ঠ