১৫ নভেম্বর হাজার ১৯৬২ বাংলাদেশের রেলওয়ের কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর ধীরে ধীরে এর পরিধি বাড়তে থাকে। বিস্তারিত সঙ্গে সঙ্গে রেল লাইন চুরি-ডাকাতিসহ নানা রকম অপরাধের ঝুঁকি তৈরি হয় । এ জন্য শুরুতে হয় আধাসামরিক বাহিনী এবং পরে রেল পুলিশ প্রতিষ্ঠা করা হয় ।১৪ ই আগস্ট হাজার ১৯৪৭ পাকিস্তান সৃষ্টির পর পুলিশকে একটি রেঞ্জের এর আওতাভুক্ত করেন করা হয় ।স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের রেলওয়ের ২টি অঞ্চলে বিভক্ত ছিল-পুর্বাঞ্চল (সদর দপ্তর-চট্টগ্রাম) এবং পশ্চিমাঞ্চল (সদর দপ্তর-রাজশাহী) অঞ্চলগুলোর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দেখার জন্য ২টি রেলওয়ে পুলিশ জেলা ছিল, যার একটি সৈয়দপুর, অপরটি চট্টগ্রাম । ঢাকা রাজধানী হলেও ছিল চট্টগ্রামের অধীনে । 2017 সালে পুলিশের এই ইউনিটের সংস্কার শুরু হয়। সেই ধারাবাহিকতায় সৃষ্টি করা হয় ঢাকা ও পাকশী রেলওয়ে জেলা পুলিশ ।
এরপর ৪ নভেম্বর ২০২০ নবসৃষ্ট খুলনা ও সিলেট খুলনা রেলওয়ে জেলার কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় ।
বাংলাদেশ রেলওয়ে পুলিশের জেলা এখন ৬টি।
এই জেলা গুলোর মধ্যমে ২৪টি থানা ও ৩২ টি ফাড়ি নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে ।
উল্লেখ্য বাংলাদেশের ৪টি বিভাগে বিভক্তি ঢাকা, চট্টগ্রাম, পাকশী ও লালমনিরহাট রেলওয়ে বিভাগ ।
এক নজরে ৬টি রেলওয়ে জেলার ২৪ থানা জেলা= থানা= থানার নাম চট্টগ্রাম = ৩টি = চট্টগ্রাম, চাঁদপুর ও লাকসাম। ঢাকা = ৫টি = ঢাকা, ময়মনসিংহ ,কিশোরগঞ্জ ভৈরব ও জামালপুর। সিলেটি = ৪টি = সিলেট, শ্রীমঙ্গল , কুলাউড়া ও আখাউড়া । সৈয়দপুরে = ৫টি = সৈয়দপুর, পার্বতীপুর, দিনাজপুর, লালমনিরহাট ও বোনারপাড়া। পাকশী = ৪টি = সান্তাহার, ঈশ্বরদী, রাজশাহি ও সিরাজগঞ্জ । খুলনা = ৩টি = রাজবাড়ী, পোড়াদহ ও খুলনা ।