মূল ভাবঃ ফুল প্রকৃতির পবিত্রতম সৃষ্টি।সৌরভে-সৌন্দর্যে জগৎকে আমোদিত করাই তার কাজ।তাই ফুলের মর্যাদা সর্বত্র স্বীকৃত।
সম্প্রসারিত ভাবঃ প্রিয়জনের আসর থেকে দেবতার প্রাঙ্গণ সর্বত্রই ফুলের সমাদর।ফুল ছাড়া আমাদের কোন পূজা,কোন মাঙ্গলিক অনুষ্ঠান হয় না।ফুল কবির কবিতার বিষয়বস্তু,নারীর সৌন্দর্য বিধায়ক,ফুল মিলন উৎসবের অঙ্গ,ফুল জনমে ও মরণেও সমান উপযোগী।মানুষের জীবনব্যাপি নানা অনুষ্ঠানে ফুলের সংযোগ।এভাবেই ফুল অপরকে আনন্দদানের মাধ্যমে নিজেকে সার্থক করে চলেছে।
ফুলের মতন মানুষের জীবনও পরার্থে উৎসর্গকৃত হওয়া উচিৎ।এতেই জীবনের সার্থকতা।মানুষ সামাজিক জীব ,সকলকে নিয়ে তাকে বাঁচতে হয়।মানুষে-মানুষে মিলনের ব্রতকে সম্পূর্ণ করতে হয় মানুষকে।যে মানুষের মধ্যে কল্যাণ আদর্শ নেই,সে মানুষ ক্ষুদ্র,খন্ড।জগতের কোন কল্যাণ সাধনই তার পক্ষে সম্ভব নয়।মানুষ সুন্দর,মানুষ মনুষ্যত্বের সৌরভ বহন করে।ঠিক ফুলের মতই মানুষ নিজের নয়,বিশ্ব-নিখিলের।ফুল যেমন নিজেকে বিলিয়ে সার্থক হয়,মানুষেরও উচিত মানব সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে সার্থক হওয়া,—হৃদয় কুসুমকে মনুষ্যত্বের গৌরবে গৌরবান্বিত করা।