ভালোবাসা হলো এক ধরনের ফাঁদ।
এটা যখন হাজির হয় তখন আমরা শুধু এর আলোটাই দেখতে পাই। এর ছায়াটা আমাদের চোখে পড়ে না।
‘আমাদের চারপাশে যেই জমিনটা আছে চলো আমরা সেখানে শুয়ে পড়ি। এ গ্রহের হৃদয়ের স্পন্দনটুকু শোনার চেষ্টা করি। সে বলল।
‘তাতে করে আমার কোর্টটা ময়লা হয়ে যাবে। আমার সাথে অতিরিক্ত কোনো কাপড় নেই। আমি বললাম।
জলপাই বাগানের পাহাড়ি উপত্যকার ভেতর দিয়ে আমরা যাচ্ছিলাম।
বিলাবোয়ের গতকালের বৃষ্টির পর আজকের সকালের সূর্যতে আমি ঠিক মতো তাকাতে পারছিলাম না। চোখ তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে উঠছিল। দুই দিন আগেই যেহেতু আমি যারাগোজায় ফিরে যাব এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে এখানে এসেছিলাম ফলে আমার সাথে কোন সানগ্লাস কিংবা অন্য কিছুই সাথে করে নিয়ে আসি নি আমি।
আমার ছেলে বন্ধুটির শার্ট ধার করে পরে রাতে ঘুমিয়েছিলাম। বিলবাওতে হোটেলের কাছাকাছি একটা দোকান থেকে টি-শার্ট কিনেছি।
‘তুমি আমাকে প্রতিদিন একই পোশাকে দেখতে দেখতে বিরক্ত হয়ে যাবে। আমি মজা করার জন্য বললাম।
‘তুমি যে এখানে আছে তাতেই আমি খুশি। সে বলল।
সে আমাকে যখন মেডেলটা দিচ্ছিল তখন কিন্তু ভালোবাসার কোন কথা বলে নি। তাকে বেশ হাস্যজ্বল লাগছে। সকালের আলোতে নিজেকে ভিজিয়ে নিয়ে সে হাটছিল।
‘ঐ পারে গিয়ে তুমি কি করবে? আমি দিগন্তের ওপারে ইশারা করে বললাম।
‘পাহাড়ি উপত্যকার সেই পাশে আছে ফ্রান্স। সে মুচকি হেসে বলল।
‘আমি জানি। তুমিতো জানো ভূগোল আমার খুব ভালো করেই পড়া আছে।
আমি শুধু জানতে আগ্রহি কেন আমাদের সেখানে যেতে হচ্ছে।
সে একটু থেমে মুচকি হাসি দিল।
‘এখন তুমি তোমার কৌতূহলের ঘরটার প্রতি দৃষ্টি বুলাতে পার।
তুমি যদি মনে করো যে তুমি একজন আবাসন ব্যবসার এজেন্ট হবে তাহলে সেটা ভুলে যাও। কারণ আমার কাছে কোন টাকা-পয়সা নেই।’
নাভারার কোনো গ্রামে কিংবা ফ্রান্সে যাওয়াতে তেমন কোন ফারাক নেই। আমি কেবল জারাগোযাতে আমার ছুটির দিনগুলো কাটাতে চাচ্ছিলাম না।
তুমি দেখলে?
আমি শুনতে পেলাম আমার মস্তিষ্ক আমাকে বলছে।
তুমি তার আমন্ত্রণ গ্রহণ করে বেশ সুখি হয়েছ। তুমি পাল্টে গেছ। যদিও তুমি সেটা বুঝতে পারছ না।
না আমি মোটেও পাল্টে যাই নি। আমি একটু হাল্কা হতে চেয়েছিলাম।
‘মাটির উপর ঐ পাথরগুলো দেখো।
পাথরগুলো একদম গোলাকার ছিল। কোন ছুচালো অংশ তার দেখা যাচ্ছিল না। সমুদ্রের নুড়ি পাথরের মতো সেগুলো লাগছিল। যদিও নাভাররার কোথাও কোনো দিন সমুদ্র দেখা যায় নি।